romantic love story in bangla - bangla love story

romantic love story in bangla , bangla love story , bangla status 2022 , love story bangla 
romantic love story in bangla



হৃদয়ে তোমায় এঁকে যাই ২
দোষ কাকে দিবো? আমাকে? নাকি আমার চোখকে? 
সে যাই হোক আকাশে রঙিন ঘুড়িটা আমার কাছে অপরূপ ছিলো।
কিছুক্ষণ সেই রঙিন ঘুড়িকে মনের আকাশে দেখলাম৷ এভাবে কতসময় কেটে গেছে সে দিকে আমার খেয়াল নেই। ঘোর ভাঙার পর খাবার খেতে বসলাম। খাওয়া শেষের দিকে ঠিক তখনই আমার দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ শুনতে পেলাম। 
মনে হচ্ছে মেয়েটা গিয়ে আংকেল কে বলে দিয়েছে, আংকেল তো এবার বকা ঝকা করে বাসা থেকে বের করে দিবে। 

আমি খাওয়া শেষ না করেই উঠে গিয়ে দরজা খুললাম। যা আঁচ করেছিলাম তাই আংকেল আসছে। তবে উনাকে দেখে রাগান্বিত মনে হচ্ছিলো না। দেখতে এমন হচ্ছিলো যেন উনি আমার কাছে দোষ করেছেন। আমি উনাকে ভেতরে আসতে বললাম। উনি ভেতরে এসে বললেন... romantic love story in bangla

-তুমি খাচ্ছিলে??(আংকেল)
-জ্বী (আমি)
-তাহলে আমি একটু পরে আসি - আংকেল আমার খাওয়া শেষ, আপনি একটু বসেন আমি হাতটা ধুয়ে আসি - প্লেটের ভাত টুকু তড়িঘড়ি করে খেয়ে হাত ধুয়ে উনার কাছে এসে দাঁড়ালাম। উনি আমাকে বসতে বললেন। আমি তার পাশেই বসলাম। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন - পুষ্প তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? (আংকেল) - বুঝতে পারলাম মেয়েটির নাম পুষ্প। 
আমি আংকেল কে উত্তর করলাম - জ্বী(আমি)
-তোমাকে এই জন্যই ছাদে যেতে মানা করেছিলাম 
-আংকেল আমি কাপড় মেলে দিতে গিয়েছি, এমনি যাইনি - তাহলে ও তোমাকে মারলো কেনো? আর আমাকে গিয়ে বলেছে তোমাকে বের করে দিতে 

romantic love story in bangla

-আংকেল সত্যি কথা বলতে আমি উনার দিকে একবার তাকাতেই.. 
-বুঝেছি বলতে হবে, আমার মেয়েটার অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে 
-আংকেল উনার কি মাথায় সমস্যা? 
-ওর যে কি হয়েছে সেটা পুরোটা বললে বুঝবে - হুমম
আংকেল বলতে শুরু করলো.. 
-আমার মেয়ে আমার আড়ালে একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক করেছিলো, তখন ওর মা ও তখন বেঁচে ছিলো। আমরা দুজনের কেউই জানতাম না। 
ওর মা একদিন ওর রুমের পাশে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ের সাথে সেই ছেলের ফোনে কথা বলা শুনে নেয়। 
আমি আর ওর মা ওকে শাশন করি। তবে অতটা কড়া ভাবে কিছু বলা হয়নি। একদিন সকালে উঠে ওর মা ওর রুমে গিয়ে ওকে খুঁজে পায়না৷ সেদিন আর বাসায় ফেরেনি ও। ওর সব বান্ধবীর বাসায় খোঁজ করেও খোঁজ মেলেনি৷ দুদিন পর ও নিজে থেকেই ফোন করে বলে ও সেই ছেলের সাথে পালিয়েছে৷ এই কথা শুনে ওর মা স্ট্রোক করে মারা যায়। 
আর তার ঠিক সপ্তাহ খানেক পরে ও একা ফিরে আসে। 

romantic love story in bangla

পুষ্প ফিরে আসার পর শুধু ওর মায়ের মারা যাওয়ার সংবাদ টা জানাই, তাছাড়া ওর সাথে একটা কথাও বলিনি তখন। মেয়েটা দিন দিন  অসুস্থ হয়ে যায়, সারাদিন রুমে থাকে, কারও সাথে কোনো কথা বলে না৷ আমিও কথা বলি না এজন্য একটা বুয়া রাখলাম যেকোনো প্রয়োজন হলে ও বুয়াকে সব বলত, আর বুয়া এসে আমাকে বলতো। এভাবেই দিন চলছিলো। তবে আমি আমার রাগ টা কমিয়ে ওর সাথে কথা বলি। তবুও বেশি একটা বলা হয়না৷ (আংকেল এউ পর্যন্ত বলে থেমে গেলো) 
-এটা কবেকার ঘটনা?(আমি)
-এইতো পাঁচ বছর হতে চলল 
-ওহহহ
-মেয়েটার বয়স হয়ে যাচ্ছে, বিয়েও দিতে পারবো না। আমার যে অবস্থা কখন কি হয় তার ও ঠিক নেই। 

bangla love story

-উনার বয়স কতো? 
-ঊনত্রিশ চলছে 
-ওহহহ
-আর এসব এর জন্য কোনো ব্যাচেলর ভাড়া দিতে চাইনি। পুষ্প আমাকে মানা করে দিয়েছে। আর ফ্যামিলি নিয়ে যারা থাকেন তাদের ও মানা আছে পুরুষ মানুষ যেন ছাদে না যায়৷ এসব মেনেই সবাই এখানে থাকছে। প্রথমে তো কাউকে ভাড়াই দিতে চাইনি 
-হুমমমম 
-আচ্ছা থাকো আমার আবার একটু বাইরে যেতে হবে 

bangla love story

আংকেল তড়িঘড়ি করে বের হয়ে গেলেন৷ আমি তাকে বিদায় জানিয়ে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম। আর ভাবতে লাগলাম উনার কথা। আংকেলের মুখে কথা গুলো শোনার পর কেমন যেন লাগতেছিলো৷ মেয়েটাকে দেখে তখন বোঝাই গেলো না এত দুঃখ মনের মধ্যে নিয়ে আছে। 

ধুরর মেয়েটা বলছি কেনো? এখন তো উনি আমার আপু হয় আমার বয়স তো ছাব্বিশ চলছে। 
bangla love story

কি থেকে কি হয়ে গেলো। এসব চিন্তা ভাবনা একপাশে রেখে আমি গেলাম বাইরে ঘুরতে। উদ্দেশ্য শহরটা ঘুরে দেখা আর কি করা যায় সেটা নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করা। রাস্তায় হাঁটার সময় আশে পাশের দেয়ালে বিদ্যুৎ এর খুঁটির সাথপ বিলবোর্ড পোস্টার লাগানো দেখলাম। সেখানে নানানরকম বিজ্ঞপ্তি। বেশির ভাগই টিউশনি, ভর্তি কোচিং আর ফ্ল্যাট ভাড়ার৷ 

সন্ধ্যা পর্যন্ত এদিক  সেদিক ঘুরে বাসায় ফিরলাম। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত তাই বিছানায় শুয়ে পড়লাম। মন আবার চলে গেলো সেই আপুর দিকে, নাহহ আপু বলব না, উনাকে আমি ঠিক অন্য চোখে দেখেছি তখন৷ সেই দৃশ্যতে উনি আমার আপু এটা মনে হয়নি। এই রঙিন ঘুড়ির একটা নাম দেওয়া দরকার। আরে আমি আচ্ছা পাগল তো নাম তো অলরেডি দিয়েই দিয়েছি৷ আমি তাকে নিয়ে ভাবলে "রঙিন ঘুড়ি" এই নামটা সম্বন্ধ করে ডাকবো। 
কিন্তু উনার অতীত টা শুনে আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করে। কেনো যে এতো খারাপ লাগা শুরু হলো। এক দেখাতেই যে আমার কি হয়ে গেলো। এইটুকু সময়ের মধ্যেই উনি আমার মাথায় চরে বসলেন। 
কিছুতেই ভাবনা গুলো সড়াতে পারছি না। 

Romantic love story bangla 

পরদিন সকাল বেলা উঠে ফ্রেশ হলাম। একটু পরেই সেই বড় ভাই কল করে আমার খোঁজ খবর নিলো। তার সাথে চাকরির ব্যাপারে কথাবার্তা হলো। সে আমাকে একটা ঠিকানা দিলো আমি যেন সময় পেলে ওখানে গিয়ে তার সাথে দেখা করি। 
আমি তো এখন সবসময়ই ফ্রি। 
ভাবছি আবার আজ একটু বের হবো। কিছু জিনিস কিনতে হবে আমার। গত রাতে আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। সেই প্ল্যান মাথায় নিয়েই বের হচ্ছি এখন। 
আমি রেডি হয়ে যেই দরজা খুলেছি তখনই দেখলাম, উনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছেন। আমি ঝটপট রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম৷ উনার সামনাসামনি হলে আবার কি যে বলে কে জানে। 
কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে বাইরে চলে আসলাম৷ আমার মাথায় যে প্ল্যান টা আসছে সেটা হলো ঘুড়ি বানানো। আমি ঘুড়ি বানানোর জন্য তাওয়া খুঁজতেছিলাম। ভাগ্যক্রমে ঘুড়ি-ই পেয়ে গেলাম। খুশি মনে আর খুব সাবধানে আটত্রিশ টা ঘুড়ি বাসায় নিয়ে আসলাম৷ এগুলো নিয়ে আসার সময় অনেকেই কিনতে চেয়েছিলো, তখন নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য ঘুড়ি বিক্রেতা মনে হচ্ছিলো। ওরা তো আর জানে না এই ঘুড়ি দিয়ে আমি আমার মনের কথা "রঙিন ঘুড়ির " কাছে উড়াবো। 
খুব সাবধানে ঘুড়ি নিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম। রুমে আসার আংকেল বা আংকেল এর মেয়ে কেউ দেখতে পায়নি৷ এখন প্রথম প্ল্যান টা হলো,
একটা ঘুড়ি হাতে নিয়ে বাকি গুলো আড়ালে রেখে দিলাম। ঘুড়িতে কয়েকহাত সুতো লাগালাম। তারপর ঘুড়ির তাওয়ার উপর লিখলাম 
"এই যে আমার রঙিন ঘুড়ি
 যাবে আমার শ্বশুর বাড়ি"
আমার উদ্দেশ্য হলো "রঙিন ঘুড়ি" টাকে হাসানো। দেখা যাক এ কাজে কতটুকু সফল হই৷ 
ঘুড়িতে সুতো লাগানো হয়েছে কথাও লেখা হয়েছে৷ সুতো লাগানোর কারণ হলো উনি যেন বুঝতে পারে এটা কোথা থেকে উড়ে এসেছে। 
ঘুড়ি নিয়ে আমি ছাদের দিকে রওনা হয়েছি। যাওয়ার সময় মনে মনে ভাবছি কি যে ছাতার মাথা প্ল্যান করে এসব করছি, কোনো কাজে দিবে কি না কে জানে? ছাদে উঁকি দিয়ে দেখলাম উনি নেই। ছাদে উঠলাম, ছাদের কোণ ঘেঁষে অনেক গাছ, ফলের গাছ ও আছে কিছু৷ একটা বড় গাছ দেখে সেটাতে ঘুড়িটা রেখে সুতো গুলো এলোমেলো করে রাখলাম। 
ঝটপট রুমে আসলাম। এখন খুব টেনশন হচ্ছে কি হয় না হয়। আবার বার বার দরজা খুলে দেখছিলাম উনি ছাদে যান কি না। একবার দরজা খুলে দেখতে পেলাম উনি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন, তার মানে ছাদে যাবেন এখন। উনি উঠার পর আমি পিছু নিবো। এমনটা প্ল্যান করে রেডি থাকলাম৷ 

Romantic love story bangla , bangla status 2022 , love story bangla 

উনি যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি পিছু নিলাম। ছাদে না গিয়ে একটা আড়ালে দাঁড়ালাম। আমি ঘুড়িটা এমন জায়গায় রেখেছি যাতে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে দেখতে পারি৷ 
আমি সেখানে দাঁড়াতেই দেখালাম উনি গাছ থেকে ঘুড়ি। 

আরো পড়ুন.....


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ