100 $USD💰💶💵 für das Spielen eines 2-minütigen Spiels. Click & Try👇👇😲
ম্যাডাম যখন বউ - সুন্দর রোমান্টিক গল্প
সুন্দর রোমান্টিক গল্প - সুন্দর লাভ স্টোরি
💵💴💰প্রতি ক্লিকে ৫০০$টাকা💵👇 ক্লিক করুন👇
৩য় ৪য় পর্ব
নীলা কিছুক্ষণ চুপ করে কি যেন ভাবলো। তারপর,
-- বাহ্ বাহ্, পিচ্চির মুখে কথা ফুটেছে দেখি..!😁😁(বলেই হাসতে লাগলো নীলা)
-- দেখুন একদম ফাজলামি করবেননা। আর আমি মোটেও কোনো হাসির কথা বলিনি। আব্বু আপনাকে আমার বউ করে নিয়ে এসেছে আপনার বাবার সম্মান রক্ষার্থে। আর আপনার দ্বারা যতি আব্বুর সম্মানের ক্ষতি হয়েছে তো, আপনার ঐ ইয়ে নাম কি যেন; লবণ না শ্রাবাণ? ওর হাত পা একদম ভেঙে ফেলবো। সাথে আপনারও ক্ষতি হতে পারে। তাই সাবধান। (কথাগুলা বলেই আকাশ হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে পরল)
এদিকে,
নীলা এখনো ওখানে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে। আর ভাবছে,
হ্যা, আকাশের কথাগুলা তো ঠিক-ই। ঠিক আছে, ৩টা মাস-ই তো। দেখতে দেখতেই কেটে যাবে। এই কয়েকদিন দেখা না করলে কিছুই হবেনা। আর তাছারা শ্রাবণের সাথে কথা বলার জন্য ফোন, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটস্যাপ, ভাইবার ইত্যাদি এগুলো তো আছেই। ইচ্ছা হলে ভিডিও কলেও কথা বলবে।
রাত ১১:৩০ । আকাশ এখনো বাড়ি ফিরেনি। তার আব্বু-আম্মু বেশ চিন্তত হয়ে আছেন। কই, আকাশ তো কখনো এতক্ষণ বাহিরে থাকেনা..। কিছু হলো নাতো আবার?
নীলাও কিছুটা চিন্তিত। তখন তো বেশ রেগেই ছিলো, কিছু করে বসলো নাতো আবার?
রাত ১২ টার দিকে আকাশ বাসায় ফিরলো..।
-- বিকেলের পর আর দেখলাম না, কই ছিলি? আর এত রাত করে ফিরলি যে?(আম্মু)
-- মাহিম নিয়ে গেলো ওদের বাসায়।(আকাশ)
-- তাই এত রাত করলি? আজ কি ওর বিয়ে ছিলো? না জন্মদিন?(আব্বু)
-- আসলে তেমন কিছুনা আব্বু। দুইজন মিলে শুয়ে শুয়ে একটা হরোর ফিল্ম দেখছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতে পারিনি...(আকাশ)
-- কেনো? তোর রুমে টিভি নেই? সেখানে হরোর ফিল্ম হয়না?😒(আম্মু)
-- ও হ্যা, তাইতো আম্মু। স্যরি মনে ছিলোনা। আজ থেকে দেখবো...😜(আকাশ)
সুন্দর লাভ স্টোরি
-- ওকে, নাও খাবার খেয়ে নাও।(আম্মু)
-- স্যরি আম্মু, পেট ভরা। আন্টি না খেয়ে আসতে দিলোনা..(আকাশ)
-- ওকে যাও ঘুমাতে যাও। আর এতরাত করে বাসায় ফিরবেনা।(আব্বু)
-- হুম। বেশি রাত হয়েগেলে বন্ধুর বাসায় থেকে আসবো..😜
এই বলে আকাশ আর অপেক্ষা না করে রুমে চলে আসলো। রুমে এসে দেখে নীলা বেলকোনীতে দাঁড়িয়ে কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে...। শ্রাবণের সাথে হয়তো।
গেলো ত মাথাটা গরম হয়ে..😡
কিছু বলাও যাচ্ছেনা। থাকুক কথা বলুক, তাতে আমার কি?😒
কিছুক্ষণপর নীলা কথা বলা শেষে রুমে এসে,
-- সত্যিই মাহিমদের বাসায় গেছিলে?(নীলা)
-- হুম, কেন?(আকাশ)
-- নাহ, মনে হলো আমার উপর রাগ করে কোথাও গিয়েছলে।(নীলা)
-- ভূল মনে হয়ছে..(আকাশ)
-- আচ্ছা যে ক'দিন আছি, আমরা কি বন্ধু হয়ে থাকতে পারিনা?(নীলা)
আকাশ কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলো, তারপর...
-- শ্রাবণের সাথে প্রতিদিন দেখা করতে যাওয়ার ধান্দা? স্যরি আমি অতটা দয়ালু নই যে, নিজের বউকে অন্য কারো সাথে দেখা করতে নিয়ে যাবো..😒 এতে এলাকার কেও দেখলে আমার ফ্যামিলি সমস্যা...(আকাশ)
-- না না, দেখা করার কথা বলছিনা। আমি ডিসিশন নিয়েছি ৩টা মাস দেখা না করেই কাটাব। কিছুক্ষণ আগে শ্রাবণকে এই কথাটাই বললাম, প্রথমে রাজি হয়নি। কিছুক্ষণ তর্ত করার পর রাজি হয়েছে..।(নীলা)
-- ওহ ভালো, ধন্যবাদ।(আকাশ)
-- হুম, আপাদত এ ক'দিন আমারা বন্ধু হয়ে থাকতে পারিনা?
আকাশ ভাবছে, ভালোবাসার উৎস দুইটা:- ভালোলাগা আর প্রেম। ভালোলাগার উৎস একটাই তবে প্রেমের বেশ কিছু উৎস রয়েছে যেমন, মায়া। আর, ভালোলাগার প্রতি আকর্ষণ বেশি আর প্রেমের শক্তি বেশি। আকাশ কি পারবে; নীলাকে মায়ায় জরিয়ে ফেলতে? সে কি পারবে নীলাকে বাকি অংশে ভালোবাসতে? না ৩ মাস পর সত্যিই ডিভোর্স হয়ে যাবে? বন্ধুত্বটাকি ভালোবাসার কোনো উপাদানের মধ্যে পরে? হয়তো!
সুন্দর লাভ স্টোরি
নীলার ডাকে আকাশের ভাবনার ছেদ পরলো,
-- আকাাাাশ...(নীলা)
-- হুম, ও হ্যা হ্যা। হুম, আজ থেকে আমরা বন্ধু, অকে?( হাত বাড়িয়ে আকাশ)
--- ওকে। তাহলে তুমি সব জায়গায়ই তুমি বলতে পারো সমস্যা নেই। তবে আমায় কোনো প্রকার চাপ দিতে পারবেনা(এই বলে নীলা আকাশের হাতের উপর হাতটা রাখলো...)
--....।
-- ওকে তাহলে ম্যাথ বইটা বের করো এখন...।(নীলা)
-- কেন? কি করবে? (আকাশ)
-- সকালে মা না তোমায় পড়াতে বলল, মনে নেই?😡(নীলা)
-- হ্যা, বলেছে। তাই বলে এত রাতে? এখন?(আকাশ)
-- হুম, এখনতো পড়াতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু একটা কথা মনে পরে গেল, " ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল। গড়ে ওঠে পাহার পর্বৎ, সাগর অতল।"
তাই আজকে একটা অংক, কালকে দুইটা অংক। এভাবে করতে করতে একসময় বিদ্যার সাগর হয়ে উঠবে তুমি..😍(নীলা)
-- হুম, মরার পরে...😒
কথাটা আস্তে করে বলে বইটা নিয়ে আসলো আকাশ...।
-- ওকে, আমরা প্রথম থেকেই শুরু করি কি বলো।(নীলা)
-- হুম, আচ্ছা। (আকাশ)
-- এই অংকটা করো তো (প্রথমদিক থেকে একটা অংক দিয়ে নীলা)
অংকটা আকাশ পারে। কিন্তু দেখতে চায় যে, নীলা কেমন বোঝায়! তাই বলল,
-- এই অংকটার জন্যই যত সমস্যা। শুধু এই অংকটাই পারিনা আমি..😒(ছোট মানুষের মত করে কথাটা বলল আকাশ)
নীলা আকাশের কথা আর কথার ভঙ্গিমা দেখে হেসেই খুন...
-- কীইইহ? এই অংক পারনা তুমি? হিহিহিহি(নীলা হেসেই যাচ্ছে)
আকাশ অবাক চোখে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে। এই প্রথম নীলেকে এভাবে হাসতে দেখছে আকাশ। মেয়েদের হাসিও এত সুন্দর হয়? জানা ছিলোনা। যেন মুক্তা ঝরে পরছে মুখ দিয়ে।
নীলার ডাকে আকাশের ঘোর কাটলো..
-- কি দেখো হা করে? এদিকে তাকাও, অংক টা বুঝে নাও। তারপর ঘুমাবো।(নীলা)
-- হুম...
নীলা অংকটা বুঝাচ্ছে আর আকাশ ভাবছে, আমায় নিয়ে ট্রোল করা হ্যা? দাড়াও বাবু দেখাচ্ছি মজা।
আকাশের মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি আসলো...
-- আরে এই অংক এতো সোজা? বুঝে গেছি থ্যাংক ইউ। একটা কথা বলি? (আকাশ)
-- হুম বলো...(নীলা)
-- তুমি ভূতে ভয় পাও?(আকাশ)
নীলা কিছুক্ষণ চুপ থেকে কিছু একটা ভাবলো। তারপর,
-- ভূত বলতে কিছু আছে নাকি যে ভয় পাবো?(কিছুটা আমতো আমতো করে)
আকাশ বুঝতে পারলো, নীলা অবশ্যই ভয় পায়।
-- থ্যাংকস গড, যে তুমি আমায় এত সাহসী একটা বউ দিয়েছো..😍 নীলা তুমি ঘুমাবে? ঘুমাও। আমার একটা একটা ভূতের ফিল্ম দেখতে হবে। গুড নাইট।(আকাশ)
-- কিক কি কি? তুমি এখন রাত ১২:৩০ টায় ভূতের ফিল্ম দেখবো? জানোনা ১২ টার পর ভূতেদের শক্তি বেরে যায়?(নীলা কিছুটা তুতলিয়ে কথাটা বলল)
-- আরে ধুর পাগলি! ভূত বলতে কিছু আছে নাকি? তুমি ঘুমাও..😎
এই বলে আকাশ স্টাডি রোম থেকে বেডরুমে চলে আসলো। পিছন পিছন নীলাও..।
নীলা সোজা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো।
আর আকাশ বাল্বটা অফ করে টিভি অন করে একটা ভয়ংকর বাংলা ভূতের ফিল্ম প্লে করে সাওন্ডটা একটু জরে দিয়ে সোফায় গিয়ে বসে পরলো। যেন নীলা দেখতে না চাইলেও শুনতে অবশ্যই পায়...😜
শুরুতেই ফিল্মের একটা ভয়ংকর শব্দে নীলা কাঁথা মুরি দিলো।
ফিল্মের শুরুতে সংকেত দিচ্ছে এক ভয়ানক কণ্ঠে, "রাত ১২ টার পর কখনো একা বিছানায় থাকবেনাহ, হিহ হাহ হাহ হাহ হিহ হাহ হোহ। রাতে কখনো বেলকোনীর দিকে তাকাবেন না, তাকালে দেখবেন কিছু একটা নরে উঠলো। আপনি ভাববেন, মনের ভূল হয়তো। আসোলে ওটা কোনো মনের ভূল নয়, হাহ হাহ হিহ হাহ হাহ। রাতে কখনো স্লিম ফ্যন ঘরে রাখবেন না, নাহলে দেখবেন মাঝরাত্রিতে কেও ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে, হোহোওওহোহ হা।"
নীলা তো এগুলি শুনে রীতিমত ঘামতে শুরু করেছে..আর বার বার বেলকোনি, ফ্যান, জানালার দিকে তাকাচ্ছে।
আকাশ কি ফিল্ম দেখছে? আরে নাহ। আকাশ তো নীকার কান্ড দেখছে, এটাইতো তার প্ল্যান..😎
কিছুক্ষণপরে
-- আয়ায়ায়াকায়ায়াশ(কাপা কাপা কণ্ঠে নীলা)
--......।
-- আকায়ায়াশ প্লিজ। (নীলা)
-- কিছু বলবে? তাড়াতাড়ি বলো অনেক ভয়ংকর ফিল্মটা। পুরাই জোস..দেখতে হবে..😎(নীলার দিকে তাকিয়ে আকাশ)
-- আয়ায়ায়া মিও দে দেখবোও(কাপা কাপা কণ্ঠে নীলা)
-- আরে বাছ, তাহলে শুয়ে আছো কেনো। ছোফায় এসে বসো।
নীলা আর দেরি না করে আকাশের পাশে গিয়ে বসলো।
সুন্দর লাভ স্টোরি
কি ভাবছেন? ফিল্ম দেখার জন্য নীলা আকাশের পাশে বসেছে? আরে নাহ, ভয়ে তো বেচারির অবস্থ্যা খারাপ। তাই আকাশের পাশে গিয়ে বসলো।
ফিল্ম হচ্ছে ভয়ংকর ভয়ংকর আওয়াজ হচ্ছে। আর নীল? নিচের দিকে তাকি আছে আর ভয়ে আস্তে আস্তে আকাশের দিকে যাচ্ছে।
আকাশ নীলার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখছে আর মনে মনে হাসছে।
আকাশের হাত ধরে আছে নীলা। আকাশের শরীরের সাথে তার শরীর কিছুটা লেগে আছে..। সে কি ফিলিংস!!😍
নাহ অনেক হয়েছে এবার বেচারিকে ঘুমাতে দাওয়া যাক...
-- নীলা কি ভয় পাচ্ছো? (আকাশ)
-- হ্যা মানে না না না। কালকে না তোমার ক্লাস আছে? এতো রাতে ফিল্ম কিসের? ঘুমিয়ে পরো( আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা ভীত কণ্ঠে নীলা)
-- হ্যা, যাও তুমিও ঘুমিয়ে পরো। আর ১০ মিনিট দেখে আমিও ঘুমাবো।(আকাশ)
নীলা বিছানায় গেলো। এমন সময় ফিল্মে, "ওই দেখে বেলকোনীতে দাঁড়িয়ে আছে কালো মুখোশধারী এক, হিহিহিহাহেওও।"
ভয়ে নীলার গলা কাঠ হয়ে আসছে,
-- আকায়ায়াশ। (কাপাকাপা কন্ঠে নীলা)
-- বলো(আকাশ)
-- বলছিলাম কি...(নীলা)
-- হুম বলো(আকাশ)
-- না মানে, তুমি খাটে শুতে পারো।(নীলা)
-- আমি? একদিনের জন্য খাটে শুতে পারবোনা, পিঠ ব্যাথা হয়ে যাবে...😒( আকাশ)
নীলা কিছু একটা ভেবে...
-- না মানে প্রতিদিন শুতে পারো(নীলা)
এটাতো আকাশের কল্পনায় ছিলোনা। মনে মনে, আর একটু ডোজ দেই..😜
-- আমি কোনবালিশওয়ালা বিছানায় শুতে পারিনা..😒 এলার্জি আছে (আকাশ)
-- না না কোলবালিশ নেই আসো প্লিজ..😰 (নীলা)
-- হুম।
এই বলে আকাশ বিছানায় গিয়ে শুয়ে শুয়ে ফিল্মটা দেখছে।
টিভিটা নীলার সাইটের উপরে তাই আকাশ নিলার দিকে ঘুরে শুয়ে আছে। আর নীলা? ফিল্ম দেখবেনা তাই উলটা ঘুরে শুয়ে আছে, মানে আকাশের দিকে...😎
ফিল্মে সেই ভয়ংকর কণ্ঠে, "সর্বশেষে আপনাদের রয়েছে একটাই উপদেশ, সেটা হলো হিহিহুহি হোওহাও..।"
আকাশ নীলার দিকে তাকিতে দেখে বালিশকে খুব শক্ত করে হাত দিয়ে চেয়ে ধরে আছে নীলা। না আর নয় অনেক হয়েছে।
আকাশ টিভিটা অফ করে নীলার মাথায় হাত দেয় সাভাবিক করার জন্য, সাথে সাথেই নীলা আকাশকে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে।
কেমন হচ্ছে জানিনা। ভালো না হলে মনভোলানোর জন্য Nice, Joss, Awesome এগুলি বলবেন না। ভালো লাগলে তার বিষয় আলাদা। ভালো না লাগলে বলবেন
পরবর্তী চলবে ।
সুন্দর রোমান্টিক গল্প
৪র্থ পর্ব
আকাশ টিভিটা অফ করে নীলার মাথায় হাত দেয় সাভাবিক করার জন্য, সাথে সাথেই নীলা আকাশকে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে।
আকাশ মটেও প্রস্তুত ছিলোনা এর জন্য।
নাহ বেশ ভয় পেয়েছে মেয়েটি। এমনটা না করলেও হত! কিন্তু আমার কি দোষ? ঐইতো বলল ও ভূতে ভয় পায়না...।
নীলারর ভয় কাটানোর জন্য আকাশ নীলার মাথায় হাত রেখে;
-- নীলায়া। কি হয়েছে কোনো সমস্যা? ভয় পাচ্ছো? (আকাশ)
--......।
-- নীলায়া..(নীলাকে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে আকাশ)
-- হুম...(নীলা)
নীলার হুস ফিরতেই এক ঝটকায় আকাশের থেকে দূরে সরে আসলো।
-- স্যরি স্যরি, বুঝতে পারিনি (নীলা)
-- সমস্যা নাই। বউ-ই তো তাইনা..?😜(আকাশ)
-- 😡😡😡😡(নীলা)
-- আকাশ কোলবালিশটা আনবে প্লিজ?(নীলা)
-- আমি না বললাম, কোলবালিশে আমার একার্জি..?😒 (আকাশ)
-- দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছ? ( কিছুটা মলিন কণ্ঠে নীলা)
আকাশ আর কিছু না বলে, উঠে গিয়ে কোলবালিশটা এনে দুজুনের মাঝখানে রাখলো...।
-- থ্যাংকস ( নীলা)
-- হুম। ভূতে ভয় পাও? তখন না বললে কেন?(আকাশ)
-- ভূত নেই তাই ভয় পাইনা...। কিন্তু জ্বীন তো আছে...(নীলা)
জ্বীনের কথা বলতেই আকাশের একটা বুদ্ধি মাথায় আসলো...,
-- আচ্ছা নীলা তুমিকি জানো, সামী-স্ত্রী মাঝখানে জায়গা ফাকা থাকলে সেখানে শয়তান এসে শুয়ে পরে...?😜 (আকাশ)
-- আকাশ, তুমি ভালো করেই জানো আমি ও শ্রাবণ দুজন দুজনকে ভালোবাসি তাই প্লিজ আমাদের মাঝে আসার চেষ্টা করোনা..( কিছুটা উচ্চস্বরে কথাটা বলল নীলা)
-- হুহ, আমি মাঝে আসছি? না আমাদের সামী-স্ত্রীর মাঝে শ্রাবণ আসছে? ওকে ঘুমাও। শুভ রাত্রী।
এই বলে আকাশ পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো।
নীলাও আর কিছু বলল না। দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লো..।
সকালে আকাশের ঘুম ভাঙলো ফোনের রিংটোনে।
ঘুম ভাংতেই দেখি নীলা গোসুল করে এসে ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাঁড়িয়ে চুল আছড়াচ্ছে। আহ্ কি সুন্দর সকাল...!
সকালটাতো ভালো কিছু দিয়ে শুরু হলো, সারাদিন কি ভালো যাবে? এদিকে যে ফোন বেজেই চলেছে তার কোনো খেয়াল নেই আকাশের..।
নীলা পিছনে ঘুরে,
-- ঐ তোমার ফোন সেই কখন থেকে ভ্যা ভ্যা করছে, ধরোনা কেন??(বিরক্ত স্বরে নীলা)
-- ও হ্যা হ্যা তাইতো।(কিছুটা অপ্রস্তুত ভাবে আকাশ)
মোবাইলটা নিয়ে বেলকোনীতে গেল আকাশ।
-- ঐ কোন ছাগলরে; আমার সুন্দর সকালের বারটা বাজাইলি..?😡😡(আকাশ)
-- মাম্মা, আজ একটু তারাতারি ভার্সিটিতে আহিছ। একটা দারুণ খবর আছে...( বাবুল)
-- রাখতোর খবর..😒 ফোন রাখ (আকাশ)
!
-- আকাশ, আম্মু ডাকছে ফ্রেস হয়ে আসো।(নীলা)
-- হুম।
আকাশ ফ্রেস হয়ে আসে। খাবার টেবিলে,
-- আকাশ, আজ বৌমাকে নিয়ে শপিং করতে যাবি। (আব্বু)
-- কেনো আব্বু?(আকাশ)
-- শপিং এ মানুষ কেনো জায়?😡 (আব্বু)
-- কেনাকাটা করতে..😰(আকাশ)
-- তাহলে তুই কেন জাবি?😒(আব্বু)
-- ওকে, টাকা দাও।(আকাশ)
-- তোর আম্মুর কাছে ক্রেডিট কার্ড, নিয়ে যাস। (আব্বু)
-- হুম। কখন যাবো?(আকাশ নীলার দিকে তাকিয়ে)
-- ক্লাস শেষে। (নীলা)
ব্রেকফাস্টের পর,
-- রেডি হও, আজ একটু তাড়াতাড়ি ভার্সিটিতে যেতে হবে।(আকাশ)
-- তুমি যাও আমি একা যেতে পারবো। (নীল)
-- আমি আব্বুর বকা খেতে পারবোনা। যা বলছি তাড়াতাড়ি করো।
এরপর নীলা রেডি হয়ে বেড়িয়ে এলো।
-- চলো..(নীলা)। সুন্দর রোমান্টিক গল্প
-- হুম। আমায় ধরে বসো। নয়তো পরে গেলে সেই আমারই ঝামেলা পোহাতে হবে..😒(আকাশ)
-- পারবোনা, চলো তুমি। (নীলা)
বাইক স্টার্ট করে আকাশ একটু স্পিড দিতেই নীলা আকাশের গায়ের উপর হুমরি খেয়ে পরে।
!
-- ঐ আমায় জরয়ে ধরলে কেন?😜 (আকাশ)
-- ঐ কালকে তো এভাবে যাওনি। আস্তে চানালো যায়না..?😡(নীলা)
-- কালকে তো কাধে হাত রেখেছিলে। আজকে তো ভাব নিচ্ছ। ধরে বসো বয়তো পরে যাবে...(আকাশ)
-- হুম।
!
ভার্সিটিতে এসে নীলা চলে যায়। আর আকাশ? বন্ধুদের কাছে।
-- কিরে আজকে তাড়াতাড়ি আসতে বললি যে? (আকাশ)
-- দোস্ত তুইতো ছ্যাকার হাত থাইকা বাইচা গেছোত..😎 আগে ট্রিট দে পরে বলি..😎 (বাবুল)
-- বলবিইই কি হইছে??😒(আকাশ)
-- আমাগো তো গার্লফ্রেন্ড আছে। আর তোর আছে ক্রাশ। ২ দিন আগে তোর ক্রাশের বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু পরে বিয়েটা ভেঙে গেছে..😍 আহ দোস্ত, কি খবরটাইনা দিলাম!! দে ট্রিট দে..।(মাহিম)
-- আচ্ছা। তাইলে আমি একটা খবর দেই তোরা ট্রিট দে ওকে? আমি উনাকে বিয়ে করেছি...(আকাশ)
-- অ্যা....(সবাই)
-- হ্যা....😒😒 ( আকাশ)
!
২ ক্লাস পরে সবাই। এমন সময় প্রিন্সিপাল স্যর,
-- আকাশ...(স্যর)
-- জী স্যর?( হাজার হলে ভার্সিটিতো তাই স্যর আরকি)
-- এদিকে আসো.. (কিছুটা হেসে স্যর)
-- জী..(আকাশ)
-- কেমন আছো? (স্যর)
-- জী, ভালো। আপনি? (আকাশ)
-- হুম ভালো। তোমার আব্বু আম্মু কেমন আছে?(স্যর)
-- জী, উনারাও ভালো। (আকাশ)
-- বলছিলাম কি, তোমার তো পরিক্ষার এখনো অনেকটা সময় আছে। তাহলে তোমরা কোথাও থেকে ঘুরে আসো?(স্যর)
-- ম্যম এর ক্লাস আছেতো..😰(আকাশ)
-- আরে ধুর। এখন শপিং এ যাও। আমি নীলাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি..(স্যর)
-- জী..😰 (আকাশ)
নীলাকে নিয়ে শপিংমলে প্রায় ২ ঘণটা হলো আসছে। আকাশের কেনাকাটা অনেক আগেই শেষ। কিন্তু নীলা? এখনো একটা শারীই পছন্দ করতে পারেনি।
কিছুক্ষণপর আকাশ,
-- এইটা কেমন দেখতো? (আকাশ একটা শারী দেখিয়ে)
-- ওয়াও, এইটাই তো খুজছিলাম এতক্ষণ আমি। থ্যাঙ্ক ইউ..(নীলা)
-- হুম...
!
এরপর আর কিছু কেনাকাটা করে আকাশের আব্বু-আম্মুর জন্যই কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরলো..।
রাতে খাবার টেবিলে,
-- কালকে তোমরা থাইল্যান্ড যাচ্ছ হানিমুমে..(আব্বু)
কথাটা শোনা মাত্রই আকাশের কাশি শুরু হয়ে গেলো..।
-- আম্মু, আমি না এখোনো ছোট? তার উপর লেখাপড়া করি.। এখন হানিমুন কিসের??😰(কিছুটা করুণ স্বরে আকাশ)
-- হ্যা, আব্বু। কিছুদিন পরে গেলে হয়বা?( নীলা)
-- নাহ, কালকেই যাচ্ছ ব্যস। সবকিছু রেডি করা আছে।খাওয়া শেষে সবকিছু গুছিয়ে নাও। সকালে বেরুচ্ছ। (আব্বু)
!
কি আর করা! আব্বুর জড়াজড়ির কারণে যেতেই হবে এখন..😰
রাতে সবকিছু গুছাচ্ছি এমন সময়,
-- আকাশ, একটা কথা বলি?(নীলা)
-- হুম, বলো। (আকাশ)
-- বলছিলাম কি, ওখানে তো আমাদের গিয়ে একা একা বসে থাকতে হবে। আর ওখানে তো তোমার পরিচিত কেও নেই তাই শ্রাবণকে আমার সাথে নিয়ে যাই ওখানে দেখা করলে তো আর কেও দেখবেনা(নীলা)
আকাশ কি বলবে বুঝতে পারছে। তার এখন কি কিরা উচিৎ সেটা বুঝতে পারছেনা আকাশ...
-- ও যাবে? ( আমতো আমতো করে কথাটা বলল আকাশ)
-- হুম, আমি বললে অবশ্যই যাবে। দাড়াও ওকে বলে দেই..
কথাটা বলে নীলা শ্রাবণের নাম্বারে ডায়েল করলো....
0 মন্তব্যসমূহ