100 $USD💰💶💵 für das Spielen eines 2-minütigen Spiels. Click & Try👇👇😲
হঠাৎ প্রেমের গল্প
হঠাৎ প্রেমের গল্প - ম্যাডাম যখন বউ - না বলা প্রেমের গল্প |
৫ম পর্ব
হম, আমি বললে ও অবশ্যই যাবে। দাড়াও ওকে বলে দেই , কথাটা বলে নীলা শ্রাবণের নাম্বারে ডায়েল করলো । একবার কল হলো কিন্তু রিছিভ হলো না। দ্বিতীয় বারেও রিছিভ হলো না। তৃতীয় বারে কল'টা রিচিভ হলো,
ম্যাডাম যখন বউ
হ্যালো, কে? (অপাশ থেকে নারী কণ্ঠে)
আমি নীলা। আপনি কে? শ্রাবণ কোথায়? আপনি শ্রাবনের কে হন? (নীলা)
এখানেই শ্রাবণ। আর আমি শ্রাবণের...
পুরো কথাটা বলার আগেই শ্রাবণ ফোনটা কেড়ে নিলো।
হ্যালো কে?(শ্রাবণ)
হ্যালো, শ্রাবণ.. (নীলা)
কে? (শ্রাবণ)
আরে আমি, নীলা..(নীলা)
অহ, কিছু বলবে? তাড়াতাড়ি বলো একটা জরুরী কাজে আছি..। (শ্রাবণ)
বলছিলাম'কি তুমি কি কালকে ভ্রমণে যাবে আমার সাথে কিছুদিনের জন্য? (নীলা)
না না, এখন আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে আছি। সপ্তাহ-খানেক পরে যেতে পারবো।(শ্রাবণ)
এখন কোথায় আছো তুমি?(নীলা)
আব্বু আম্মুর সাথে কক্সবাজার আসছি। বায়, পড়ে কথা বলবো, ফোন দিও না।
এই বলে শ্রাবণ কল'টা কেটে দিলো।
নীলার মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আকাশ এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এদের কথা শুনছিল। শ্রাবণ যাবেনা শুনে বেশ খুশীই হলো আকাশ, কিন্তু মুখে তা প্রকাশ করলোনা।
কিছুই শুনেনি এমন ভণিতা করে নীলাকে জিজ্ঞাস করলো,
রেডি হচ্ছে শ্রাবণ? কখন ইয়ারপোর্ট এ আসবে? একটু তাড়াতাড়ি আসতে বলো..। (আকাশ)
কি হলো কিছু বলছো না যে? (আকাশ)
-- শ্রাবণ যাবেনা। সে কক্সবাজার গেছে কি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে, সপ্তাহ খানেক পরে ফিরবে।(মন খারাপ করে কথাটা বলল নীলা)
-- এমা কেন? এখন কি হবে? আর আব্বু যেহেতু যেতে বলছে সেহেতু যাওয়ায় ফাকি দেওয়ার কোনো চাঞ্জ নেই..(আকাশ)
-- হুম, সমস্যা নেই। আমরা দুজনেই যাবো।(নীলা)
-- আমরা..! ওকে ওকে, তাহলে তুমি তোমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছাও। আমি একটু বাহিরে থেকে আসি।
এই বলে আকাশ বেড়িয়ে পরলো বাড়ি থেকে। উদ্দেশ্য, বন্ধুদের ঠিকানা। কিছুক্ষণ পর,
দোস্ত খেলবি?
মাহিমরা ক্যারাম খেলছে তাই আকাশকে উদ্দেশ করে কথাটা বলল বাবুল।
-- নারে, কালকে থাইল্যান্ড যাচ্ছি। তাই তোদের সাথে দেখা করতে আসলাম।(আকাশ)
-- কস'কি দোস্ত!! কেনো রে? (সবাই একসাথে)
-- কি করবো বল। তোদের ম্যাডাম বায়না ধরেছে..। (আকাশ)
-- দোস্ত, সত্যি করে একটা কথা বল'তো, ম্যাডাম কি তোর শুধুই ক্রাস ছিলো? না তোরা দুজন লুকিয়ে প্রেম করতি? ( মাহিম)
-- কেন-রে দোস্ত? এমন মনে হলো কেন?(আকাশ)
-- বিয়ে করতে না করতেই ম্যাডাম ছাত্রর কাছে থাইল্যান্ড যাওয়ার বাইনা ধরে, তাই বললাম আর কি (মাহিম)
-- আরে নাহ। আব্বুর জড়াজড়িতে যেতে হচ্ছে। আর তাছাড়া ম্যম এর ব্যাপারটায় ঝামেলা আছে। থাইল্যান্ড থেকে এসে বলবো বায়।
-- ওকে, সাবধানে যাস। আর কোনো সমস্যা হলে আমায় ফোন দিস। ওখানে আমার ছোট মামা থাকে।(সাকিল)
-- ওকে বায়।
বাসায় এসে জামাকাপড় গুছাচ্ছে আকাশ। ব্যাগ গুছানো প্রায় শেষ। ব্যাগে বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। তখন বাঁধলো মহাবিপত্তি, ট্রাউজার আর গেঞ্জি নেওয়া হয়নি। কি করি এখন? নতুন করে শুরু করার কোনো মানে হয়না। দেখি নীলা'কে বলে কিছু করতে পারি কি না।
-- নীলা.
হু..?
-- এই নীলা...
-- আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় আমার কানে সমস্যা আছে?
-- মোটেই না..?
-- তাহলে নীলা নীলা করছো কেন? বলে ফেল।
-- ক্ষুদ্র পরিসরে একটা মানবিক আবেদন..
-- কি?
-- আমার ব্যাগে জায়গা নেই। ট্রাউজার গেঞ্জিগুলা তোমার ব্যাগে নিতে পারবে?
-- যদি না নেই?
এবার প্রচণ্ড রাগ লাগছে। এত ভালো করে বলল, তারপরেও শুনলোনা। কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করলাম।
তখন বউ আমার পিছন থেকে ডাক দিল,
-- কোনটা কোনটা নিব?
-- তোমার ইচ্ছা..।
বলে চলে আসলাম। নিচে নামতে নামতে গিয়ে আবার রুমে উঁকি মারলাম,
দেখি সে যত্ন সহকারে ট্রাউজার আর গেঞ্জি ভাজ করে তার ব্যাগে পুরে দিল।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হলো আকাশ, নীলাও উঠে গেছে।
তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পরতে হবে,
সাড়ে ন’টায় ফ্লাইট। আকাশী রঙের শার্ট গায়ে দিতে যাবে এর মধ্যে নীলা বলল,
-- তোমার কালো রঙের শার্ট নেই?
-আছে। কেন?
-সেটা পর না! তোমায় সুন্দর লাগবে।
নীলা এই কথা বলছে? ভাবতেই অবাক লাগছে! বলেছে যখন ড্রয়ার থেকে কালো শার্ট টা বের করে পরলো আকাশ।
-- দেখো, তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে।
আকাশ বরাবর নিজের উপর উদাসীন টাইপ পাবলিক, তাই আয়না দেখতে ইচ্ছে হল না তার।
যত সময় যাচ্ছে তত বেশি অবাক লাগছে। রুম থেকে বের হবার জন্য পা বাড়ালো আকাশ, পিছন থেকে নীলা ডাকল,
-- আকাশ..
-- হুম, বলো..
-- শাড়িটা একা পড়তে পারছি না, একটু হেল্প করবে?
-- আমি?
-- হ্যাঁ!
-- পারি না তো।
-- বেশি কিছু না। শুধু কুঁচি গুলো একটু ধরলেই হবে।
!
আব্বু আম্মুর দোয়া নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছি এমন যাচ্ছে ওরা তখন,
-- মা, আমার ছেলেটা একটু বাদর টাইপের হলেও, মনটা অনেক ভালো। আজ থেকে ওর সকল দায়িত্ব তোমার। ওর বাঁদরামো'গুলা একটু সহ্য করে নিও। আর কোনো সমস্যা হলে আমায় ফোন দিও(কিছুটা মলিন কণ্ঠে বলল আম্মু)
-- হুম আম্মু। আমি জানি, ও খুব ভালো একটা ছেলে। আর আমিও ওকে সামলে নিব।
এয়ারপোর্টে পৌঁছতে পৌঁছতে সাড়ে আটটা বেজে গেল।
দেখতে দেখতে ডিপাচার টাইম হয়ে আসল। থাই এয়ারওয়েজ এর ফার্স্ট ক্লাস টিকিট।
সারাদিনের জার্নি'তে খুব ক্লান্ত লাগছে। নীলা এসেই বিছানায় শুয়ে পরেছে।
সে খেয়াল করেনি জায়গাটা এত সুন্দর। শাওয়ার নিয়ে বাইরে এসে দেখি নীলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,
-- যাও ফ্রেস হয়ে নাও..(আকাশ)
--হ্যাঁ যাচ্ছি! আর শোনো , তুমি রেডি হয়ে নাও, বীচে যাব।(নীলা)
-- আমার খুব ক্লান্ত লাগছে। (আকাশ)
-- কোনো কথা বলবে না। (নীলা)
চুপসে গেলাম, পাগলীটা যেহেতু বায়না ধরেছে কিছু করার নেই। ।
বীচে হাটছে আকাশ, পাশে নীলা, একটু দুরে তাকেতেই নীলা থমকে দাঁড়াল।
-- কি হলো? কোনো সমস্যা?(আকাশ)
আকাশের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে নীলা দৌরে "বীচের একদিকে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে আছে" সে দিকে গেলো। আকাশও গেল পিছন পিছন।
--(ছেলেটার কলার ধরে কাঁদ কাঁদ স্বরে) তুমি না কক্সবাজার গেছো তোমার আব্বু আম্মুর সাথে? তোমার না অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে? এই তোর সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ? তোর জন্য আমি এতকিছু করলাম আর তুই আমায় এই প্রতিদান দিলি? আমার কালকেই সন্দেহ হয়েছিল, যখন তোর ফোন কোনো মেয়ে ধরে। আমার ভাবতেই লজ্জা লাগছে তোর মত একটা চরিত্রহীন, লম্পট'কে আমি ভালোবেসেছি, ছিহ। তুই আর কোনোদিন আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করবিনা..(কেঁদে কেঁদে)
এই বলো নীলা আর একম মুহুর্থও না দাঁড়িয়ে আকাশের হাত ধরে একপ্রকার দৌরেই চলে আসলো ।
To be continued....
0 মন্তব্যসমূহ